মিঠাপুকুর থেকে নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কখনও সরাসরি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের, কখনও এ মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বাধীন বাংলা একাডেমির, কখনও বা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এভাবেই ১৬ বছর পার করল রংপুরের রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র। চলতি বছরের ৫ মে থেকে এটি আবারও হস্তান্তর করা হয়েছে বাংলা একাডেমির কাছে। কিন্তু এখনও তালা ঝুলছে কেন্দ্রের বিভিন্ন ভবনে। কোনো কার্যক্রম না থাকায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এর বিশাল অবকাঠামো পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে বাড়িতে। ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না স্মৃতি কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিচালকসহ ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ-সংক্রান্ত ফাইলটি মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।’
জানা গেছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রের জটিলতার নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন এটির কার্যক্রমে আর কোনো বাধা নেই। তবে, কর্মচারীদের বেতনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে।’
সম্প্রতি সরেজমিনে বেগম রোকেয়ার বসতভিটা রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে গিয়ে দেখা গেছে, এখানে মানসম্মত একটি রেস্টহাউস, অডিটোরিয়াম, সেমিনার কক্ষ, লাইব্রেরি, গবেষণাগার, সংগ্রহশালা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নামাজ ঘর ও স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে। মূল ভবনের সামনে পিতলের তৈরি বেগম রোকেয়ার একটি ভাস্কর্য রয়েছে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থান স্যাঁতসেঁতে হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও পলেস্তারা খসে পড়েছে।
২০০১ সালের ১ জুলাই পায়রাবন্দ সফরে এসে স্থানটিকে শিক্ষা ও সংস্কৃতির অন্যতম পাদপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন করেন এ কেন্দ্র। বেগম রোকেয়ার জীবন-কর্ম সম্পর্কে গবেষণা, তার গ্রন্থাবলির অনুবাদ, প্রচার ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ বছরেও এর কার্যক্রম শুরু হয়নি। এর আগে ১৯৯৭ সালের ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রাবন্দে তিন একর ১৫ শতক জমির ওপর ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রে’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রথমে এ কেন্দ্রের দায়িত্বভার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ওপর থাকলেও ২০০৪ সালের ৪ অক্টোবর স্মৃতি কেন্দ্রটি বাংলা একাডেমির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে এর দায়িত্বভার দেওয়া হয় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। সে বছর ১৭ মার্চ অলিখিতভাবে স্মৃতি কেন্দ্রটি বিকেএমইএর শ্রমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। এর পর কেন্দ্রটিকে ফিরে পেতে ২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।
হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন পায়রাবন্দ রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল ও হিউম্যান রাইট্স অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেখান থেকে অনুকূল রায় পেয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ২০১২ সালের ১ মে কেন্দ্র থেকে বিকেএমইএকে সরিয়ে দেয়।
পরে স্মৃতি কেন্দ্রটিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলা একাডেমির অধীনে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে স্মৃতি কেন্দ্রের উপপরিচালক আবদুল্যাহ্ আল-ফারুক উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। আদালত এর পক্ষে আদেশ দিলেও সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে একটি লিভ টু আপিল করেন। এর ফলে, স্মৃতিকেন্দ্রটি কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবদুল জলিল চলতি বছরের ৫ মে চিঠি দিয়ে স্মৃতি কেন্দ্রটি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলা একাডেমির কাছে হস্তান্তর করেন। তবে স্মৃতি কেন্দ্রটি চালুর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি।জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ২০১২ সালের ১ মে কেন্দ্র থেকে বিকেএমইএকে সরিয়ে দেয়। পরে স্মৃতি কেন্দ্রটিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলা একাডেমির অধীনে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে স্মৃতি কেন্দ্রের উপপরিচালক আবদুল্যাহ্ আল-ফারুক উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। আদালত এর পক্ষে আদেশ দিলেও সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে একটি লিভ টু আপিল করেন। এর ফলে, স্মৃতিকেন্দ্রটি কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবদুল জলিল চলতি বছরের ৫ মে চিঠি দিয়ে স্মৃতি কেন্দ্রটি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলা একাডেমির কাছে হস্তান্তর করেন। তবে স্মৃতি কেন্দ্রটি চালুর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি।
পরে স্মৃতি কেন্দ্রটিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলা একাডেমির অধীনে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে স্মৃতি কেন্দ্রের উপপরিচালক আবদুল্যাহ্ আল-ফারুক উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। আদালত এর পক্ষে আদেশ দিলেও সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে একটি লিভ টু আপিল করেন। এর ফলে, স্মৃতিকেন্দ্রটি কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবদুল জলিল চলতি বছরের ৫ মে চিঠি দিয়ে স্মৃতি কেন্দ্রটি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলা একাডেমির কাছে হস্তান্তর করেন। তবে স্মৃতি কেন্দ্রটি চালুর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি।জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ২০১২ সালের ১ মে কেন্দ্র থেকে বিকেএমইএকে সরিয়ে দেয়। পরে স্মৃতি কেন্দ্রটিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলা একাডেমির অধীনে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে স্মৃতি কেন্দ্রের উপপরিচালক আবদুল্যাহ্ আল-ফারুক উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। আদালত এর পক্ষে আদেশ দিলেও সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে একটি লিভ টু আপিল করেন। এর ফলে, স্মৃতিকেন্দ্রটি কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবদুল জলিল চলতি বছরের ৫ মে চিঠি দিয়ে স্মৃতি কেন্দ্রটি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলা একাডেমির কাছে হস্তান্তর করেন। তবে স্মৃতি কেন্দ্রটি চালুর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি।