ষ্টাফ রিপোর্টার: পীরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত কবি হেয়াত মামুদ শিশু নিকেতনে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেয়ার সময় নার্সারীর ছাত্রী জুয়েনার শরীর আগুনে ঝলসে যাওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের গুলশান মোড়ে দু’শতাধিক অভিভাবকের উপস্থিতিতে মানববন্ধন শেষে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, জুয়েনার বাবা ওয়ালিউর রহমান রূপম, কাউন্সিলর সাইফুল আজাদ মন্ডল, সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক দুলা মন্ডল, পীরগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারন সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম সর্দার, জাগোবাহে২৪.কমের সম্পাদক আক্তারুজ্জামান রানা প্রমুখ। বক্তাগন বলেন, ইউএনও প্রশাসনিক কর্মকর্তার ব্যস্ততায় থাকেন। এ কারণে তার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটির সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে স্থানীয় সভাপতি এবং অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়ম অব্যবস্থাপনার তদন্ত সাপেক্ষে তার অপসারণ করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যালয়টিতে পাঠদানের নামে সহপাঠ্য হিসেবে বই বাণিজ্যকরণসহ বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করতে হবে। পরে ইউএনও কমল কুমার ঘোষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেই উপজেলা সদরে স্থাপিত কবি হেয়াৎ মামুদ কিন্ডার গার্টেনে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিলো। এ সময় মোমবাতির আগুনে নার্সারীর ছাত্রী জুয়েনার বাম হাতের বাহু পুড়ে ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউএনও কমল কুমার ঘোষ দু’শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এতে আরও ক্ষোভে ফুঁসে উঠে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ। ওইদিন পরীক্ষা স্থগিত করাও যেত বলে অভিভাবকরা জানায়। এরপর অগ্নিদগ্ধ পরীক্ষার্থীর বাবা ওয়ালিউর রহমান রূপম বিভিন্ন মহলের সাথে আলোচনার পর ৩ মে মানববন্ধনসহ স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসুচী দেন।